দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নানা সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে কে এম নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচনে স্বল্প ভোটার উপস্থিতি ও নানা অনিয়ম, ইভিএম বিতর্ক, ইসির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সিইসির একক ক্ষমতা প্রয়োগে বাড়াবাড়ি- সব মিলিয়ে এক ধরনের আস্থা ও ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে বর্তমান ইসি। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভোট ব্যবস্থাপনায় ইসির ব্যর্থতা ও অদক্ষতার কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা। বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট পড়ার হার দেখে তা প্রতীয়মান হয়েছে।
আবার ইভিএম নিয়েও নানা বিতর্কে জড়িয়েছে বর্তমান কমিশন। ভোটের সময় ইভিএম অচল হয়ে যাওয়া, ভোটার শনাক্তে ব্যর্থতা প্রভৃতি বিষয়ে ভোটারের তিক্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা, আরেক কমিশনার মাহবুব তালুকদারসহ দেশের বেশকিছু বিশিষ্টজন ও ভোটারের হাতের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে সমস্যায় পড়লে ইভিএম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন হয় গত ২১ মার্চ। এ নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আবার মঈন উদ্দিন খান বাদল মারা গেলে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়ে ২৬ শতাংশের মতো। এই পরিস্থিতিকে ভোটারদের অনাস্থার প্রকাশ বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়া সিইসিসহ অন্য চার কমিশনারের মতানৈক্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এবং অন্য কমিশনারদের গুরুত্ব না দিয়ে সচিবকে নিয়ে সব কাজ সম্পাদন করার অভিযোগ, নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ নানাভাবে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে ইসিতে। তাছাড়া সিনিয়র কমিশনার মাহবুব তালকদার কমিশন বৈঠকে বারবার নোট অব ডিসেন্ট দেয়ায় কমিশনের ঐক্যকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। মাহবুব তালুকদার নিজেও বিভিন্ন সময় সিইসির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন, সাংবাদিকদের সামনে ইসির নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। অবশ্য বিশেষ রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি মাহবুব তালুকদারের দুর্বলতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
Leave a Reply